সাগরিকায় তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে শুরু, টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা এরপর চতুর্থ দিনে লিটন-ইয়াসিরের প্রতিরোধ। আর শেষ ৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানো— বড় লক্ষ্যের সুযোগ থাকলেও সবশেষে বাংলাদেশের ইনিংস থামলো ১৫৭ রানে। পাকিস্তানকে হারানোর জন্য টাইগার বোলাররা পাচ্ছেন ২০২ রানের লক্ষ্য।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে পাকিস্তানকে দ্রুত গুটিয়ে দিয়েও স্বস্তি পায়নি বাংলাদেশ। বিকালে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২৫ রানেই শুরুর ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। পরে অভিষিক্ত ইয়াসির আলীকে নিয়ে বিপদ কাটিয়ে দিন পার করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু চতুর্থ দিনের শুরুতেই খেই হারান টাইগারদের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। হাসান আলির স্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দেন মুশফিক। কিন্তু দুর্দান্ত টার্ন করে অফ স্টাম্পে আঘাত হানে বল, মুশফিক ফেরেন ৩৩ বলে ১৬ রান করে।
পরে ইয়াসিরকে নিয়ে ৪৭ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন লিটন। শাহিন আফ্রিদির বল মাথায় লাগায় রিটায়ার হার্ট হন ইয়াসির আলী। ভাঙে গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তবে ইয়াসিরের কনকাশন সাব হয়ে মাঠে নেমেছিলেন নুরুল হাসান। যদিও সুযোগটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। সাজিদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন নুরুল। আউট হবার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ বলে ১৫ রান।
পরে অবশ্য বেশি সময় থাকতে পারেননি লিটন দাশও। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক করা লিটন দাশ এদিন হাঁকিয়েছেন ফিফটি। ৮৯ বলে ৫৯ রান করে দলকে সামনে থেকে টেনে ফিরেছেন শাহিনের শিকার হয়ে। দুর্দান্ত ইনিংসে তিনি হাঁকিয়েছেন ৬টি চারের মার।
কিন্তু নুরুলের পর লিটন ফিরলে হুড়মুড়িয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। সবশেষ ৪ রান তুলতে একে একে ফেরেন নুরুল, লিটন, তাইজুল ও রাহি। বাংলাদেশকে ১৫৭ রানে গুটিয়ে দিতে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখেন শাহিন আফ্রিদি। পাকিস্তানি এই পেসার আবারও তুলে নেন ৫ উইকেট। তিনটি উইকেট নিয়েছেন সাজিদ খান। দুটি হাসান আলির ঝুলিতে।
সাগরিকায় ২০২ রানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮ রান তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ক্রিজে ৪ রান করে ব্যাট করছেন আবদুল্লাহ ও আবিদ আলী আছেন ৪ রানে। জয়ের জন্য তাদের আরও ১৯৭ রান প্রয়োজন। বাংলাদেশের দরকার ১০ উইকেট।